Posts

হরপ্পা সভ্যতার শিল্প

Image
প্রাচীন ভারতীয় শিল্পের অন্যতম জরুরি দিক ছিল হরপ্পা সভ্যতার কারিগরি শিল্প। পাথর ও ধাতু দুটোরই ব্যবহার হত। ধাতুর মধ্যে ব্রোঞ্জ, তামা ও কাঁসার ব্যবহার হত। লোহার ব্যবহার মানুষ জানত না। মাটির পাত্রের গায়ে চকচকে লাল পালিশ লাগান হত । ইট বানানোর শিল্প দেখা যায় । কাদামাটির ও চুল্লিতে পড়ানো ইট দুইয়ের ব্যবহার হত । মালার দানা ছিল অন্যতম কারিগরি শিল্প । সুক্ষ ওজন মাপার বাট খারাও পাওয়া যায় ।  

গান্ধার শিল্প

Image
গান্ধার প্রদেশে নানা কারনে  বিভিন্ন জাতির মেলামেশার সুযোগ ছিল। বৌদ্ধ ধর্মকে ঘিরে গান্ধার শিল্প গড়ে ওঠে । আগে বুদ্ধের মূর্তি ও পুজো নিষিদ্ধ ছিল পরবর্তী কালে নাতুন ধরনের বুদ্ধ মূর্তি তৈরি করেন শিল্পীরা  নাক টিখালো, টানা ভুরু ও আধা বোঝা চোখ মূর্তি গুলির বৈশিষ্ট্য । মূর্তি গুলিতে সোনালি রঙের ব্যবহার দেখা যায়। গ্রিক ও রোমান শিল্পের ছাপ দেখা যায়, পাশাপাশি ইরানীয় ও মধ্য এশীয় শিল্পের ছাপ ও গান্ধার শিল্পে দেখা যায় । ভৌগোলিক অবস্থার কারনে নানা শিল্প এখানে মিশে গেছে । 

গুপ্ত ও পল্লব আমলের শিল্প চর্চা

Image
গুপ্ত আমলের শিল্পে আমরা পোড়া মাটির ব্যবহার দেখতে পাই। গুপ্ত আমলে প্রথম স্থাপত্য হিসাবে মন্দির বানানো শুরু করেছিল দেওঘরের দশবতার মন্দির ছিল বিখ্যাত। পাহাড় ও পাথর কেটে মন্দির তৈরির প্রথা ছিল । দেব দেবীর মূর্তি খোদাই করা হত। গুপ্ত যুগের চিত্র শিল্পের সব থেকে বড় উদাহরণ হল অজন্তা গুহার ছবি গুল । রঙ গুলি বিভিন্ন পাথর , মাটি ও গাছের উপদান দিয়ে তৈরি। এছাড়া যেমন কৈলাস মন্দিরে রামায়নের প্যানেল ও দশবতার মন্দির ভাস্কর্য দেখা যায় । গুপ্ত যুগের শিল্পের সাথে ধর্মের স্পষ্ট যোগাযোগ দেখা যায়।  

সুঙ্গ- কুষাণ সাত বাহন আমলের শিল্প চর্চা

Image
সুঙ্গ কুষাণ আমলের সাধারন জীবনের ছাপ শিল্পের উপর পরেছিল । ধর্মীয় ধ্যান ধারনার সঙ্গে শিল্পের যোগাযোগ ছিল। প্রধানত বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গে এই স্থাপত্য শিল্প গুলি জড়িত, বেশির ভাগ ভাস্কর্য ছিল বুদ্ধের জীবন ও বৌদ্ধ ধর্ম। সুঙ্গ কুষাণ যুগে গান্ধার ও মথুরার শিল্পরীতি খুব বিখ্যাত। বুদ্ধের জীবন ও বৌদ্ধ ধর্ম এই শিল্পরীতির মূল বিষয় । গান্ধার ভাস্কর্যে গ্রিক ও রোমান প্রভাব দেখা যায়। লাল চুনা পাথরের ব্যবহার বেশী হত, চৈত্য ও তোরণ বানানো হত স্তুপের সাথে।

মৌর্য আমলের শিল্প চর্চা

Image
হরপ্পা সভ্যতার পর ভারতীয় উপমহাদেশে মৌর্য আমলের শিল্পের উদাহরণ পাওয়া যায়। পাথরের ব্যপক ব্যবহার দেখা যায় তবে বেশির ভাগ ভাস্কর্য , স্থাপত্যের  নজির মেলে। অশোকের পরবর্তী মৌর্য সম্রাটরা পাহাড় কেটে গুহা বানাতো, সম্রাট অশোক বৌদ্ধ দের জন্য অনেক গুলি স্তূপ বানিয়েছিলেন। প্রথমে মাটি দিয়ে তৈরি হত পরে ইটের ব্যবহার দেখা যায়। অশোকের আমলে সারনাথ ও সাঁচির স্তূপ দেখা যায় অশোক স্তম্ভ অনেকটা চক খড়ির মত। স্তম্ভের ভিত মাটিতে পোতা থাকত এবং পাথর কেটে তৈরি হত বলে একে ভাস্কর্য বলা হত। স্তম্ভের উপর সিংহ, হাতি ইত্যাদির মূর্তি থাকত। এমনই একটি বিখ্যাত স্তম্ভ অশোক স্তম্ভ যা সারনাথে রয়েছে।                                                                       অশোক স্তম্ভ, সারনাথ